গুরুত্বপূর্ণ হাটে জাল নোট শনাক্তকরণ বুথ স্থাপন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য সব ব্যাংককে জাল নোট প্রতিরোধে সেবা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি শাখাগুলোতে ব্যাংক নোটের নিরাপত্তাবৈশিষ্ট্য-সংবলিত ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করতে হবে।
এজন্য ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কোন হাটে কোন ব্যাংক দায়িত্ব পালন করবে তাও নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর ঢাকার বাইরের হাটের ব্যাংকগুলোর দায়িত্ব নির্ধারণ করে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ব্যাংকগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্দেশনা পরিপালন করতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় আরও বলা হয়, রাজধানীর উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অনুমোদিত পশুর হাটে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিরতিহীনভাবে নোট যাচাই-সংক্রান্ত সেবা দিতে হবে।
ঢাকার বাইরে যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা নেই, সেখানে বিভিন্ন ব্যাংকের দায়িত্ব বণ্টন করবে সোনালী ব্যাংক।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের গাবতলী হাটে অগ্রণী ও আইএফআইসি ব্যাংক, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরে সোনালী ব্যাংক, কাওলা শিয়ালডাঙ্গা এলাকায় ইসলামী ব্যাংক, পূর্বাচলের ৪৩ নম্বর ব্রিজ এলাকায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ভাটারা এলাকায় জনতা ব্যাংক ও উত্তরখান মৈনারটেক হাউজিং প্রকল্পের খালি জায়গায় রূপালী ব্যাংক জাল নোট শনাক্তে কাজ করবে।
আর দক্ষিণ সিটির ১২টি হাটে কাজ করবে ১২টি ব্যাংক। এর মধ্যে খিলগাঁও রেলগেটে ব্র্যাক ব্যাংক, হাজারীবাগের লেদার টেকনোলজি মাঠে এক্সিম ব্যাংক, পোস্তাগোলা শ্মশানঘাট-সংলগ্ন বাজারে শাহজালাল ইসলামী, মেরাদিয়া বাজার এলাকায় ফার্স্ট সিকিউরিটি, গোপীবাগ বালুর মাঠ ও কমলাপুর স্টেডিয়ামে ঢাকা ব্যাংক, দনিয়া কলেজ মাঠে এনসিসি ব্যাংক, ধূপখোলা মাঠে সোশ্যাল ইসলামী, সাদেক হোসেন খোকা মাঠে মিউচুয়াল ট্রাস্ট, আফতাবনগর মাঠে ইস্টার্ণ ব্যাংক, আমুলিয়া মডেল টাউনে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ও ডেমরার সারুলিয়া পশুর হাটে সাউথইস্ট ব্যাংক জাল নোট শনাক্তকরণ বুথ স্থাপন করবে।